কোনো অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি যখন কোনো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীর শিক্ষাকালীন আচরণ প্রত্যক্ষ করেন এবং মন্তব্য করেন, তাকে পর্যবেক্ষণ বা পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলে। এটি একটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি।
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা | পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার

পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহারগুলি হল-
(1) বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার:
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞান, রাশিবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষাবিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
(2) শিক্ষক ও সহপাঠীদের আচার-আচরণের প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ:
শ্রেণিশিক্ষা, শিখন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা, শিক্ষক বা সহপাঠীদের প্রতি তার আচরণ বা শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে তার উৎকর্ষ এবং সহপাঠীদের সঙ্গে আচার- আচরণের প্রকৃতি সম্পর্কে জানার জন্য পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
(3) শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ:
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে এই পদ্ধতি অনেকাংশেই নির্ভরযোগ্য।
(4) নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতি:
এটি ব্যক্তিগত পদ্ধতি হলেও আধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একে নৈর্ব্যক্তিক করে তোলা সম্ভব।
(5) অভিজ্ঞতামূলক তথ্যসংগ্রহ:
মনোবিজ্ঞানে ও শিক্ষাশ্রয়ী মনোবিজ্ঞানে অভিজ্ঞতামূলক তথ্যসংগ্রহের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুবই ব্যবহৃত হয়। মানব আচরণ, জ্ঞান, আবেগ, সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় অন্তর্দৃষ্টি কেমন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনাকে পদ্ধতিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং রেকর্ড করা হয়।
(6) শক্তিশালী অনুসন্ধান পদ্ধতি:
উন্নয়নমূলক মনোবিদ্যা, চিকিৎসা মনোবিদ্যা, সামাজিক মনোবিদ্যা এবং বৌদ্ধিক মনোবিদ্যা সহ বিভিন্ন উপক্ষেত্র জুড়ে মনোবিজ্ঞানীদের দ্বারা ব্যবহৃত একটি অধিক শক্তিশালী অনুসন্ধান পদ্ধতি হল পর্যক্ষেণ।
(7) গবেষণার ক্ষেত্রে সহয়তা:
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ‘হাইপোথেসিস’ প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে, গবেষণার প্রশ্ন তৈরিতে এবং তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়ক হয়।
পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ
পর্যবেক্ষণ নানা প্রকারের হয়। এখানে পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রকার নিয়ে আলোচনা করা হল-
(1) প্রকৃক্তিবাদী পর্যবেক্ষণ:
এক্ষেত্রে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্যক্তিদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একজন মনোবিজ্ঞানী সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও তার বিকাশ প্রসঙ্গে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে খেলার মাঠে বাচ্চাদের খেলার আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
(2) অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষণ:
এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক অধ্যয়নরত গোষ্ঠীর অংশ হয়ে যায়। ফলে আচরণ ও সামাজিক গতিশীলতার দিক থেকে পর্যবেক্ষক অনেক বেশি গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ পান। যেমন-একজন মনোবিজ্ঞানী গ্রুপ ডায়নামিক্স এবং থেরাপিউটিক ইনটার অ্যাকশন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে গ্রুপ থেরাপি সেশনে সরাসরি অংশ নেন।
(3) কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ:
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ড বা আচরণ নির্ধারণ এবং পূর্বনির্ধারিত বিভাগ বা স্কেল ব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে যাবতীয় তথ্য রেকর্ড করা হয়। এই পদ্ধতিটি একদিকে যেমন ধারাবাহিকতা সরবরাহ করে তেমনই পরিমাণগত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা দান করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, গবেষকরা ব্যক্তির বা শিক্ষার্থীর মনোযোগের বিস্তৃতি (span) বা বিঘ্নিত আচরণের মতো শ্রেণিকক্ষের সমস্যার বা আচরণের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করতে পারেন।
(4) অসংগঠিত পর্যবেক্ষণ:
এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক খুবই খোলামেলা পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এই পর্যবেক্ষণ বিভিন্ন আচরণ প্রসঙ্গগুলির নমনীয়তা ও অন্বেষণের অনুমতি দান করে। গবেষকরা আচরণ, আবেগ এবং মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কিত অতি সমৃদ্ধ ও বিশদ বিবরণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে, এমনকি গুণগত গবেষণায় অসংগঠিত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।
পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়া
পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে যে উপায় বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পর্যবেক্ষণের বিষয়টি সম্পাদন করা হয়, তার ধাপগুলি এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
(1) পর্যবেক্ষণমূলক ক্ষেত্র বা সেটিং নির্বাচন:
গবেষকরা তাদের অনুসন্ধান বা গবেষণামূলক প্রশ্ন এবং উদ্দেশ্যগুলির ওপর ভিত্তি করে একটি যথাযথ ক্ষেত্র বা সেটিং নির্বাচন করেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের অ্যাক্সেস, নীতিগত বিবেচনা, পরিবেশগত বৈধতা এবং আচরণের প্রকৃতির মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করেন।
(2) পর্যবেক্ষণ সূচি ও প্রোটোকলের উন্নয়ন:
গবেষকরা পর্যবেক্ষণ ক্রিয়া শুরু করার আগেই একটি পর্যবেক্ষণ সূচি ও প্রোটোকল প্রস্তুত করেন। এতে উল্লেখ থাকে কোন্ কোন্ আচরণ বা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা হবে, সেগুলি রেকর্ড করার ক্ষেত্রে কী উপায় অবলম্বন করা হবে (যেমন-কী লিখে নেওয়া হবে, কী কী ভিডিও রেকর্ডিং হবে এবং কোন্ কোন্ বিষয়ে অডিও রেকর্ডিং হবে ইত্যাদি)। এ ছাড়া, পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশাবলি বা মানদণ্ড বজায় রাখা হলে, সেই বিষয়গুলিও প্রোটোকলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
(3) পর্যবেক্ষণ ক্রিয়া পরিচালনা:
পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণের সূচি ও প্রোটোকল অনুযায়ী আচরণ বা ঘটনাসমূহ ঘটার সাথে সাথে অতি সাবধানতা অবলম্বন করে পর্যবেক্ষণ শুরু করেন এবং পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত বিষয়গুলি নথিভুক্ত করেন। তাঁরা প্রয়োজনানুসারে এই কাজের জন্য চেকলিস্ট, রেটিং স্কেল বা ক্ষেত্র নোট নেওয়া ইত্যাদি সরঞ্জামগুলির সহায়তা নিতে পারেন।
(4) তথ্যসংগ্রহ:
পর্যবেক্ষণমূলক তথ্যে আচরণের গুণগত বর্ণনা, আচরণের ফ্রিকোয়েন্সি বা পরিসংখ্যান, সময়কাল, ক্রম, মিথস্ক্রিয়া, মৌখিক নয়-এমন বিভিন্ন সংকেত এবং প্রাসঙ্গিক নানান তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। গবেষকরা সর্বদাই তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে নির্ভুলতা, উদ্দেশ্যমূলকতা এবং নির্ভয়যোগ্যতা নিশ্চিত করার দিকে নজর দানের পক্ষপাতী হন।
(5) তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা:
পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য সংগ্রহের পর গবেষকরা ফলাফলগুলিকে নানানভাবে পর্যালোচনা করেন, বিশ্লেষণ করেন ও ব্যাখ্যা করেন। এক্ষেত্রে রাশিবিজ্ঞানের জ্ঞান গবেষকদের সহায়তা করে।
(6) সিদ্ধান্ত ও উপসংহার:
গবেষকরা তাঁদের গবেষণমূলক প্রশ্ন, অনুমান ও তাত্ত্বিক কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত গবেষণামূলক তথ্য ব্যাখ্যা করেন এবং সিদ্ধান্তগুলি পরবর্তী গবেষণার জন্য লিপিবদ্ধ করেন।
বিজ্ঞানসম্মত পর্যবেক্ষণের নীতি
পর্যবেক্ষণকে বিজ্ঞানসম্মত ও নির্ভুল করতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নজর দিতে হবে-
- পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ বা উপযুক্ত সংখ্যক নমুনার দরকার হয়।
- যে সকল আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে, সেগুলি আগে থেকেই নির্দিষ্ট করতে হবে। শুধু তাই নয়, আচরণের সামগ্রিকতা বিষয়ে পর্যবেক্ষককে অবহিত হতে হবে। আচরণকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করার বিষয়ে খুবই সর্তক থাকতে হবে।
- আচরণগুলি নথিভুক্ত করার সময় সহজ ও সরল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
- পর্যবেক্ষণগত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিভিন্ন পর্যবেক্ষকদের মধ্যে মতভেদ দূর করতে হবে।
- একক পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে বা একই সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করার সময় অসংখ্য ‘চলক’-এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট কয়েকটি চলকের ওপর ভিত্তি করে পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।
- পর্যবেক্ষণের সময়কাল যাতে দীর্ঘ না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। পর্যবেক্ষণের মাঝে প্রয়োজনমতো বিশ্রামের বা অবসর সময় কাটানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- পর্যবেক্ষককে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও উপযুক্ত হতে হবে।
- পর্যবেক্ষণের শর্তাদি একই হতে হবে এবং পর্যবেক্ষণের সংখ্যা যত বেশি হবে, তত আচরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
- পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্যসমূহ সম্পূণ ও ব্যাপক হওয়া দরকার।
- পর্যবেক্ষক অবশ্যই পর্যবেক্ষণের পশ্চাৎপদ সম্পর্কে অবহিত থাকবে।
- পর্যবেক্ষণকে নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী করার জন্য পর্যবেক্ষককে অনুসন্ধিৎসার দৃষ্টি নিয়ে পর্যবেক্ষণে অংশ নিতে হবে।
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সুবিধাগুলি হল-
(1) প্রয়োগের সুবিধা:
সাধারণ শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুব সুন্দরভাবে প্রয়োগ করা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আচরণ প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
(2) তথ্য সংগ্রহে নিরবচ্ছিন্নতা:
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে ব্যক্তিকে তাঁর কার্যকালীন অবস্থায় নিরীক্ষণ করার মাধ্যমে তথ্য নথিভুক্ত করা হয়। এর ফলে ফাঁক থাকার কোনো অবকাশ থাকে না। অন্যান্য পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রে ভয়, সংকোচ ইত্যাদি ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় নিয়ে যায় যে, ব্যক্তির সংগৃহীত তথ্যে ফাঁক থেকে যায়। ফলে সেক্ষেত্রে সংগৃহীত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা হ্রাস পায়।
(3) বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ:
শিশু মনোবিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে বৃত্তি বিশ্লেষণ ও শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে, শ্রমিকদের নানান ধরনের আচরণ সম্পর্কীয় তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রয়োগ অনেকখানি সুবিধা পাওয়া যায়।
(4) প্রামাণিকতা ও তথ্যের নিশ্চয়তা:
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি তথ্য সংগ্রহের প্রামাণিকতা এবং তথ্যের বৈশিষ্টাবলি সুনিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই পদ্ধতিটি নিয়মিত এবং সময়সূচিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তথ্যের নিশ্চয়তা ও বৈশিষ্ট্যকে পরিপূর্ণ করে তোলে।
(5) মূল্যায়নে সহায়তা:
পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করা যায়। এটি একটি প্রক্রিয়াকে পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এ ছাড়া, নতুন নতুন পদ্ধতি বা পরিবর্তিত দক্ষতা সম্পর্কিত ফলাফলের মূল্যায়নেও সাহায্য করে।
(6) গবেষণায় সহায়তা:
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুবই সহায়ক হয়। এটি হাইপোথেসিস প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে, গবেষণার প্রশ্ন তৈরিতে এবং তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতাগুলি হল-
(1) তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ:
কিছু ঘটনা বা প্রকৃতিপ্রদত্ত বস্তু অস্থায়ী হতে পারে এবং তা নজরদারির সময়ে পর্যালোচনা না করলে মেয়াদ শেষে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
(2) ঝুঁকিপূর্ণ বা নিরাপত্তার অভাব:
কিছু অবস্থানে, সাধারণ মানুষের নৈতিক অথবা আইনি নিরাপত্তা উপলখ না থাকার কারণে পর্যবেক্ষণ করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
(3) পরিমাপের নিষেধাজ্ঞা: কিছু বৈশিষ্ট্য বা ঘটনার পরিমাপ অসম্পূর্ণ বা অনির্ণেয় হতে পারে। ফলে পর্যবেক্ষণের দ্বারা সঠিক এবং সম্পূর্ণ পরিমাপ না-ও পাওয়া যেতে পারে।
(4) সময় ও খরচ সাপেক্ষ:
বিশেষ ধরনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময়ের অপচয় ঘটে এবং ব্যয়ও বেশি হয়।
(5) নিজস্ব সাহায্য ও বৈশিষ্ট্যগত ত্রুটি:
নিজের মত অনুযায়ী এবং পক্ষপাতের প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রেই পর্যবেক্ষণ যথাযথ হয় না। সংগৃহীত তথ্য প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে একই প্রকার না হয়ে, ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়।
(6) সৃজনশীলতাজনিত ত্রুটি:
পর্যবেক্ষণ ক্রিয়া পরিচালনার জন্য কঠিন এবং সময়ের ধারাবাহিকতার অভাবে অধিক সৃজনশীলতার জন্য নানান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন | Link |
শ্রীমদ্ভগবতগীতা – নিষ্কাম কর্মের ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
বৌদ্ধদের অষ্টাঙ্গিক মার্গের ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার | Click Here |