একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।
নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধতা বিচার করো

সে এত বুদ্ধিমান যে ভুল করতে পারে না।
যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল- ‘কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি নয় ভুল করতে পারা ব্যক্তি’। এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি নয় ভুল করতে পারা ব্যক্তি (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় ভুল করতে পারা ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদটি ‘বুদ্ধিমান ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘ভুল করতে পারা ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘সে’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি।
এর নাম CELARENT ।
বস্তুবাদীরা কার্যকারণ নিয়ম মানেন। যেহেতু শংকরবাবু কার্যকারণ নিয়ম মানেন না সুতরাং তিনি বস্তুবাদী নন।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল বস্তুবাদী হন কার্যকারণ নিয়ম মানা ব্যক্তি (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।
শংকরবাবু নন কার্যকারণ নিয়ম মানা ব্যক্তি (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
শংকরবাবু নন বস্তুবাদী (E) – সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘কার্যকারণ নিয়ম মানা ব্যক্তি’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘বস্তুবাদী’ ও পক্ষপদ ‘শংকরবাবু’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। এর নাম CAMESTRES ।
কেবলমাত্র সৎ ব্যক্তিরা বুদ্ধিমান, কিছু শিশু বুদ্ধিমান। সুতরাং কিছু শিশু সৎ।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল বুদ্ধিমান ব্যক্তি হয় সৎ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো শিশু হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তি (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো শিশু হয় সৎ (I) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘বুদ্ধিমান’ প্রধান আশ্রয়বাক্যের A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘সৎ’ ও পক্ষপদ ‘শিশু’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম DARII ।
কিছু সংখ্যক ভারতীয় যুদ্ধবিরোধী, কারণ তারা সাম্যবাদী এবং সাম্যবাদী মাত্রই যুদ্ধবিরোধী।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল সাম্যবাদী হয়। যুদ্ধবিরোধী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো ভারতীয় হয় সাম্যবাদী (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো ভারতীয় হয় যুদ্ধবিরোধী (I) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘সাম্যবাদী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘যুদ্ধবিরোধী’ ও পক্ষপদ ‘ভারতীয়’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম DARII।
সকল মানুষ শান্তি কামনা করে কারণ তারা প্রাণী।
যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল- ‘সকল প্রাণী হয় শান্তিকামনাকারী।’ এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল প্রাণী হয় শান্তিকামনাকারী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সকল মানুষ হয় প্রাণী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সকল মানুষ হয় শান্তিকামনাকারী (A) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘প্রাণী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘শান্তি কামনাকারী’ ও পক্ষপদ ‘মানুষ’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম BARBARA।
অভীকবাবু অবশ্যই জ্ঞানী কেন-না কেবলমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরাই ভালো অধ্যাপক এবং অভীকবাবু একজন ভালো অধ্যাপক।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল ভালো অধ্যাপক হন জ্ঞানী ব্যক্তি(A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।
অভীকবাবু হন ভালো অধ্যাপক (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
অভীকবাবু হন জ্ঞানী ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ। ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘ভালো অধ্যাপক’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে পক্ষপদ ‘অভীকবাবু’ ও সাধ্যপদ ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি, যার নাম BARBARA ।
সে এত ভালো যে, কঠোর হতে পারে না।
যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল-‘কোনো ভালো ব্যক্তি নয় কঠোর।’ এই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে –
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো ভালো ব্যক্তি নয় কঠোর (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে হয় ভালো ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে নয় কঠোর কঠোর (E)- সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘ভালো ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘কঠোর’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT ।
কেবলমাত্র নৈয়ায়িকরাই দার্শনিক, তিনি দার্শনিক নন, যেহেতু তিনি নৈয়ায়িক নন।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল দার্শনিক হন নৈয়ায়িক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন নৈয়ায়িক (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন দার্শনিক (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
দ্বিতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘নৈয়ায়িক’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘দার্শনিক’ ও পক্ষপদ ‘তিনি’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম- CAMESTRES।
সুবিধাবাদীরা সকলেই লোভী কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তিদের কেউই লোভী নয়। সুতরাং ধার্মিক ব্যক্তিদের সুবিধাবাদী বলা যায় না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল সুবিধাবাদী হয় লোভী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো ধার্মিক ব্যক্তি নয় লোভী (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো ধার্মিক ব্যক্তি নয় সুবিধাবাদী (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
দ্বিতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘লোভী’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘সুবিধাবাদী’ ও পক্ষপদ ‘ধার্মিক ব্যক্তি’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে।। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম- CAMESTRES।
তিনি সুখী হতে পারেন না। কেন-না তিনি সৎ নন এবং কেবল সৎ ব্যক্তিরাই সুখী।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল সুখী ব্যক্তি হয় সৎ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন সৎ (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
তিনি নন সুখী ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘সৎ’ অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘সুখী ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘তিনি’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম- CAMESTRES।
সমস্ত জড়বস্তু নিম্নে ধাবিত হয়। যেহেতু আলোক নিম্নে ধাবমান নয় তাই তা জড়বস্তু হতে পারে না।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল জড়বস্তু হয় নিম্নে ধাবিত বস্তু (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো আলো নয় নিম্নে ধাবিতবস্তু (E) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো আলো নয় জড়বস্তু (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
দ্বিতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে হেতুপদ ‘নিম্নে ধাবিত বস্তু’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কিন্তু অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন হওয়ায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘জড়বস্তু’ ও পক্ষপদ ‘আলো’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AEE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CAMESTRES ।
নদীটি এত খরস্রোতা যে স্নান করা যায় না।
এই যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি অব্যক্ত বা উহ্য আছে। সেটি হল- ‘কোনো খরস্রোতা নদী নয় এমন যাতে স্নান করা যায়’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো খরস্রোতা নদী নয় এমন যাতে স্নান করা যায় (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
এই নদীটি হয় খরস্রোতা নদী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
এই নদীটি নয় এমন যাতে স্নান করা যায় (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে এখানে হেতুপদ ‘খরস্রোতা নদী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। আবার এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে পক্ষপদ ‘নদীটি’ ও সাধ্যপদ ‘এমন যাতে স্নান করা যায়’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT।
সে সুখী কারণ সে ধার্মিক।
এই যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি অব্যক্ত বা উহ্য আছে। সেটি হল- ‘সকল ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী ব্যক্তি’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল ধার্মিক ব্যক্তি হয় সুখী ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে হয় ধার্মিক ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সে হয় সুখী ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।
প্রথম সংস্থান
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এক্ষেত্রে হেতুপদ ‘ধার্মিক ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের উদ্দেশ্যে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই, যেখানে সাধ্যপদ ‘সুখী ব্যক্তি’ ও পক্ষপদ ‘সে’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম BARBARA ।
কোনো কোনো প্রাণী সুনিশ্চিতভাবে মানুষ নয়, কেন-না তারা চারিপদবিশিষ্ট এবং কোনো মানুষের চারটি পা নেই।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো মানুষ নয় চারিপদবিশিষ্ট প্রাণী (E)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো প্রাণী হয় চারিপদবিশিষ্ট প্রাণী (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
কোনো কোনো প্রাণী নয় মানুষ নয় মানুষ (O) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
দ্বিতীয় সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘চারিপদবিশিষ্ট প্রাণী’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, E বচনে উভয় পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘মানুষ’ ও পক্ষপদ ‘প্রাণী’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং EIO একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম FESTINO।
একমাত্র শান্তিনিকেতনবাসী বাঙালি হন নোবেলজয়ী ভারতীয়, অর্মত্য সেন নোবেলজয়ী ভারতীয়। সুতরাং অর্মত্য সেন শান্তিনিকেতনবাসী বাঙালি।
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
সকল নোবেলজয়ী ভারতীয় হন শান্তিনিকেতনবাসী বাঙালি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
অর্মত্য সেন হন নোবেলজয়ী ভারতীয় (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
অর্মত্য সেন হন শান্তিনিকেতনবাসী বাঙালি (A) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, এখানে হেতুপদ ‘নোবেলজয়ী ভারতীয়’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। কারণ, এ বচনে উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য। তা ছাড়া এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সাধ্যপদ ‘শান্তিনিকেতনবাসী বাঙালি’ ও পক্ষপদ ‘অর্মত্য সেন’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে যুক্তিটিতে কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। সুতরাং যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম BARBARA।
সত্যব্রত এতই সৎ সে প্রতারক হতে পারে না।
এই যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেটি হল- ‘কোনো সৎ ব্যক্তি নয় প্রতারক’। এই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-
যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:
কোনো সৎ ব্যক্তি নয় প্রতারক (E) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।
সত্যব্রত হয় সৎ ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।
সত্যব্রত নয় প্রতারক (E) – সিদ্ধান্ত।
দোষ: কোনো দোষ হয়নি।
প্রথম সংস্থান
বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি বৈধ। কারণ, বৈধ ন্যায়ের নিয়ম অনুসারে এখানে হেতুপদ ‘সৎ ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য E বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। আবার এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই যেখানে পক্ষপদ ‘সত্যব্রত’ ও সাধ্যপদ ‘প্রতারক’ উভয় আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য না হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ন্যায় অনুমানের কোনো নিয়ম লঙ্ঘিত হয়নি। তাই যুক্তিটি বৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং EAE একটি শুদ্ধ মূর্তি। যার নাম CELARENT।
আরও পড়ুন | Link |
শ্রীমদ্ভগবতগীতা – নিষ্কাম কর্মের ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
বৌদ্ধদের অষ্টাঙ্গিক মার্গের ধারণা প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর | Click Here |
নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার | Click Here |