ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতি বা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতি বা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতি বা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতি বা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট পদ্ধতি বা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট ব্যবস্থা অথবা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতিটি অধ্যয়নের ফলে যেসকল বৈশিষ্ট্যগুলি চিহ্নিত করা যায় সেগুলি হল-

(1) একক প্রার্থী নির্বাচন

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবস্থায় প্রতিটি নির্বাচনি এলাকা বা কেন্দ্র থেকে একজন প্রতিনিধিকেই নির্বাচিত করা হয়ে থাকে।

(2) সহজবোধ্য ফলাফল লাভ

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবস্থাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ফলাফল লাভের সহজবোধ্যতা। এই ব্যবস্থাটিতে নির্বাচনি এলাকা থেকে যে প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পান তিনিই জয়ী ঘোষিত হন। ফলত এই পদ্ধতিটির অনুধাবন ও বাস্তবায়ন করা সহজ হয়।

(3) স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী সরকার গঠন

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতিটি নির্বাচনি ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত। এই ব্যবস্থায় যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে, সেহেতু এই ব্যবস্থা একটি স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী সরকার গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

(4) স্পষ্ট নির্বাচনি প্রার্থীর সুনিশ্চিতকরণ

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবস্থাতে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকা থেকে একজন করে স্পষ্ট প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। যার ফলে ভোটাররা প্রার্থী সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।

(5) সরলতা

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এই পদ্ধতিতে কোনোরূপ জটিলতা নেই। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেক নাগরিককে একটি করে গোপন ভোটদানের মাধ্যমে নিজস্ব নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হয়, এবং যেই প্রার্থী সর্বাধিক ভোট লাভ করেন তিনিই জয়ী ঘোষিত হন। ফলত এই পদ্ধতিটি সহজ হওয়ায় নির্বাচন সম্পর্কে যাদের কোন গভীর জ্ঞান নেই, তারাও এটি খুব সহজেই বুঝতে পারে।

(6) জনগণ ও জয়ী প্রার্থীর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতিতে যেহেতু সাধারণ জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের সুযোগ পান, তার ফলে জয়ী প্রার্থী ও জনগণের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং জয়ী প্রার্থী জনগণের আঞ্চলিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।

(7) জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি 

সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতিতে যেহেতু জনগণ প্রত্যক্ষভাবে প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাই তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।

(8) অসামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট ব্যবস্থাটির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল ফলাফলের অসামঞ্জস্যতা। এই পদ্ধতিতে একটি রাজনৈতিক দলের জয়ী আসন সংখ্যা সর্বদা তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতকে প্রতিফলিত করে না। বরং ভোটের শতাংশ এবং জয়ী আসনের শতাংশের মধ্যে প্রায়ই বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়।

(9) ভোটের অপব্যয়

এই পদ্ধতি অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারানোর জন্য বা একজন প্রার্থীর জয়ী হওয়ার জন্য যে পরিমাণ ভোটের প্রয়োজন হয় তার থেকে বেশি ভোেট নির্বাচনি ফলাফলকে প্রভাবিত করে  না, ফলে বিপুল সংখ্যক ভোট নষ্ট হয়।

(10) দ্বিদলীয় প্রাধান্য

প্রায়ই দ্বিদলীয় রাজনীতিতে সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবস্থা প্রাধান্য পায়, যা এই ব্যবস্থাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিগণিত হয়।

(11) জাতিভিত্তিক বিভাজন

এই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণ ভোট অপেক্ষা জাতিভিত্তিক ভোট ব্যাংক গড়ে তোলার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করে, যা জাতিভিত্তিক বিভাজন ও তোষণের রাজনীতির পথকে প্রশস্ত করে।

(12) জনগণের প্রকৃত পছন্দের প্রতিফলন নয়

ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট ব্যবস্থাতে যেহেতু নির্বাচনি ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে খুব কম সংখ্যক ভোটেও প্রার্থী জয়ী হতে পারেন, সেহেতু জয়ী প্রার্থীর জয়ের পশ্চাতে অধিকাংশ জনগণের সমর্থন থাকে না। ফলে এই পদ্ধতি জনগণের প্রকৃত পছন্দের প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়।

Read More – The Garden Party Question Answer

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top