জ্যোতির্বিদ্যাচর্চায় প্রাচীন কালে আরবদের অবদান কীরূপ ছিল

জ্যোতির্বিদ্যাচর্চায় প্রাচীন কালে আরবদের অবদান কীরূপ ছিল

জ্যোতির্বিদ্যাচর্চায় প্রাচীন কালে আরবদের অবদান কীরূপ ছিল
জ্যোতির্বিদ্যাচর্চায় প্রাচীন কালে আরবদের অবদান কীরূপ ছিল

জ্যোতির্বিদ্যা চর্চায় বা জ্যোতিষচর্চায় প্রাচীন কালে আরবদের অবদান

জ্যোতিষচর্চায় আরবদের অবদান ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। খলিফা অল মনসুরের সময় থেকে জ্যোতিষচর্চায় আরবদের তৎপরতা শুরু হয়। অল মনসুরের সভাসদদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট জ্যোতির্বিদ নাওব ও মাশাল্লাহ্ ইবন আথারি প্রমুখ। নাওব্য একটি জ্যোতিষীয় তালিকা প্রণয়ন করেন। অন্যদিকে মাশাল্লাহ্ জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন।

(1) জ্যোতিষচর্চার অগ্রগতি: খলিফার নির্দেশে ব্রহ্মগুপ্তের সিদ্ধান্ত প্রথমে পারসি ভাষায় এবং পরে আরবি ভাষায় অনূদিত হলে আরবে জ্যোতিষচর্চায় আগ্রহ দেখা দেয়। চন্দ্রের অবস্থান অনুসারে নানারকম ধর্মাচারের জন্য আরবদের মধ্যে জ্যোতিষচর্চা গুরুত্ব পায়।

(2) ভারতীয় যোগাযোগ: ফ্লোরিয়ান ক্যাজোরি (Florian Cajori) তাঁর A History of Mathemetics গ্রন্থে লিখেছেন যে, এক হিন্দু জ্যোতিষী অল মনসুরের সভায় এসে (৭৭২ খ্রিস্টাব্দ) হিন্দু সিদ্ধান্ত, জ্যোতিষীয় তালিকা ও গণনার কথা খলিফাকে জানান। ল্যাসি ওলিয়ারি (De Lacy Oleary) How Greek Science Passed to the Arabs গ্রন্থে এই ভারতীয় পণ্ডিতের নাম কঙ্কা বা মঙ্কা বলেছেন। এই পণ্ডিত খলিফার সভায় ভারতীয় জ্যোতিষ ও গণিত ব্যক্ত করতেন। তিনি আরবি ভাষা না জানায় তার বক্তব্য আরবি ভাষায় তর্জমা করে খলিফাকে শোনানো হত।

(3) অল-বাভানির ভূমিকা: নবম শতকের অগ্রণী আরবীয় জ্যোতির্বিদ ছিলেন অল-বাত্তানি। তাঁর কাজে জ্যোতিষ ও গণিতের সমন্বয় দেখে অনেকে অল-বাত্তানিকে টলেমির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি গ্রহনক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে এক নতুন জ্যোতিষীয় সারণি প্রস্তুত করেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ De scientia stellarum নামক ল্যাটিন গ্রন্থে অনূদিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য আরবীয় জ্যোতির্বিদদের মধ্যে অল-ফারঘানি, আবুল ওয়েফা প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন – ছাত্রজীবন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top