ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্রে আরব মনীষীদের অবদান লেখো

ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্রে আরব মনীষীদের অবদান লেখো

ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্রে আরব মনীষীদের অবদান লেখো
ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্রে আরব মনীষীদের অবদান লেখো

মধ্যযুগীয় ইউরোপের বিজ্ঞানচর্চা ছিল ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত। ক্রুসেড পরবর্তীকালে আরব-ইউরোপ সম্পর্কের সূত্রে ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে শুরু করে।

ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভবের ক্ষেত্রে আরব মনীষীদের অবদান 

(1) জ্যোতির্বিদ্যা: আরবের রসায়নবিদ জাবির ইবন (Jabir Ibn) জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। আরব পণ্ডিতরা অ্যালমাজেস্ট নামক টলেমির লেখা গ্রন্থের আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন। পরবর্তীকালে তা ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হলে ইউরোপীয় পন্ডিতদের কাছে পৌঁছোয়। পাশাপাশি ইউরোপীয়রা মানমন্দির (Observatory Tower) নির্মাণের কৌশল শেখে আরব মনীষীদের থেকে।

(2) গণিত: আরব পণ্ডিত অল-খাওয়ারিজমি (Al-Khwarizmi) গণিতশাস্ত্রের বিকাশে আল-জাবর নামক গ্রন্থ রচনা করেন, যার থেকে অ্যালজেব্রা শব্দটির উৎপত্তি। তাছাড়া ইউরোপীয়রা আরবদের থেকে শিখেছিল সংখ্যাবিদ্যা।

(3) চিকিৎসাশাস্ত্র: মধ্য এশিয়ার অন্তর্গত বুখারা-র ইবন সিনা (ল্যাটিন উচ্চারণ আভেসিনা) চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রাখেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ কানুন ফি তিব্ব (The Canon of Medicine) এবং অল-রাজি নামে আর একজন আরব পণ্ডিত রচিত চিকিৎসা বিশ্বকোশ নামক দুটি গ্রন্থ ইটালির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠ্য ছিল।

(4) পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন: গন্ধক-পারদ তত্ত্ব (Sulpher-Mercury Theory), শ্বেত সিসা, আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি ইত্যাদি ধাতু নিষ্কাশন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন আরবীয় রসায়নবিদ জাবির ইবন। আরবের রসায়নবিদরা পাতন, পরিস্রাবণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটান, যা ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় সহায়তা করেছিল। আরব মনীষীদের এই জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চা নিঃসন্দেহে ইউরোপে আধুনিক বিজ্ঞানের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

আরও পড়ুন – ছাত্রজীবন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top