আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর অবদান লেখো

আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর অবদান লেখো

আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর অবদান লেখো
আধুনিক বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর অবদান লেখো

ভূমিকা

ইউরোপে রেনেসাঁ যুগের একজন বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী হলেন গ্যালিলিও গ্যালিলি। ১৫৪৬ খ্রিস্টাব্দে ইটালির পিসা শহরে এক অভিজাত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি গণিত ও পদার্থবিদ্যার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। এ কারণে অনেকেই তাঁকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করেছেন।

(1) সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণা প্রমাণ: কোপারনিকাস যুক্তি ও তথ্যের সাহায্যে প্রমাণ করেছিলেন যে, সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহগুলি তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে। তাঁর এই সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণা-কে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অধিকাংশ মানুষই সে যুগে মেনে নেয়নি। কিন্তু তাঁর এই সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারণাকে প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেন গ্যালিলিও।

(2) দূরবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কার: গ্যালিলিও প্রথম আবিষ্কার করেন উন্নতমানের টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্র। মহাকাশ চর্চার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিল এই আবিষ্কার। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন সৌরকলঙ্ক, বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ এবং মহাকাশের নানা গ্রহনক্ষত্রের গতিবিধি।

(3) অন্যান্য আবিষ্কার: গ্যালিলিও-র অন্যান্য আবিষ্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দোলকের সূত্র, গতিবিদ্যা ইত্যাদি।

মূল্যায়ন

গ্যালিলিওর মৃত্যুর মাত্র ৪৫ বছরের মাথায় তাঁর যাবতীয় কাজ সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত হয় আইজ্যাক নিউটন দ্বারা। এভাবেই গ্যালিলিওর সারাজীবনের বিজ্ঞানসাধনা বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য উৎসর্গীকৃত হয়েছিল।

আরও পড়ুন – ছাত্রজীবন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top