“তারই পাশে বেশ বিশালায়তন একটি জীর্ণ অট্টালিকা…”- এখানে কোন্ অট্টালিকার কথা বলা হয়েছে? অট্টালিকাটির পরিচয় দাও

“তারই পাশে বেশ বিশালায়তন একটি জীর্ণ অট্টালিকা…”- এখানে কোন্ অট্টালিকার কথা বলা হয়েছে? অট্টালিকাটির পরিচয় দাও।

"তারই পাশে বেশ বিশালায়তন একটি জীর্ণ অট্টালিকা..."- এখানে কোন্ অট্টালিকার কথা বলা হয়েছে? অট্টালিকাটির পরিচয় দাও।
“তারই পাশে বেশ বিশালায়তন একটি জীর্ণ অট্টালিকা…”- এখানে কোন্ অট্টালিকার কথা বলা হয়েছে? অট্টালিকাটির পরিচয় দাও।

উদ্দিষ্ট অট্টালিকা : প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পের নায়ক চরিত্র মৎস্যশিকারের উদ্দেশ্যে তার দুই বন্ধুসহ বহু বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত তেলেনাপোতা গ্রামের অভীষ্ট জায়গায় পৌঁছোন। পচা পানার আঁশটে গন্ধে পূর্ণ আবহাওয়ায় গোরুর গাড়ি থেকে কোনোক্রমে নেমে সামনে একটা নাতিদীর্ঘ পুকুর দেখতে পান কথক। আর ঠিক তারই পাশে ভগ্নপ্রায় অট্টালিকা। এখানে সেই অট্টালিকার কথা বলা হয়েছে।

অট্টালিকার পরিচয় : শতাব্দীকাল আগে ম্যালেরিয়া জ্বরে নিশ্চিহ্ন এই ধ্বংসপুরীর জীর্ণ অট্টালিকার ছাদ ভাঙা, দেয়ালগুলি ধসে পড়েছে। কোনো জানলাতেই পাল্লা নেই, যেন চক্ষুহীন কোটর তারা। এই ক্ষয়িষুতা নিয়েই তা ‘নবোদিত চাঁদের বিরুদ্ধে দুর্গ-প্রাকারের মতো দাঁড়িয়ে আছে’। সেই ভগ্ন প্রাসাদেরই অপেক্ষাকৃত বাসযোগ্য একটা ঘরে তাদের রাত্রিযাপন। ঘরে ঢুকেই তারা উপলব্ধি করেন, বহুযুগ পরে কোনো মনুষ্যপ্রতিনিধি রূপে তাঁরাই প্রথম এঘরে এলেন। ঘরময় ঝুল আর জঞ্জাল, যদিও সেগুলো পরিষ্কার করার একটা ব্যর্থ প্রয়াসের ছাপ আছে। সামান্য চলাফেরাতেই বাড়িটির ছাদ ও দেয়াল থেকে ভাঙা পলস্তারা খসে পড়ে। বেশ কয়েকটা চামচিকের উপস্থিতিও টের পাওয়া যায়। ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনকারী অ্যানোফিলিস মশার সান্নিধ্য ক্রমে বাড়তে থাকে। ছাদে ওঠার সিঁড়ি আছে একটা। তবে ছাদের বেশিরভাগ আলিসা ভেঙে ধূলিসাৎ। সারা বাড়ি জুড়ে বেশকিছু বড়ো গাছ প্রাসাদের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের শিকড় বিছিয়ে অট্টালিকার ক্ষয়কে আরও ত্বরান্বিত ও নিবিড় করেছে।

আরও পড়ুন – ছাত্রজীবন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top